• ২৩ আশ্বিন ১৪৩২, সোমবার ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Murder Case

কলকাতা

ট্যাংরার তিন মহিলা কি পরিকল্পিত খুনের শিকার? কেন এমন কাণ্ড?

আত্মহত্যা না খুন? ট্যাংরার বাড়ি থেকে তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের পর এটাই সবথেকে বড় প্রশ্ন। মৃতদেহ উদ্ধারের পর থেকেই সন্দেহ ক্রমশ বাড়ছিল ৷ খুনের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর সেই সন্দেহ আরও ঘণীভূত হয়। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর দেখা গেল সেই সন্দেহই কার্যত সত্যি হল৷ খুনই করা হয়েছে ট্যাংরার রোমি দে, সুদেষ্ণা দে ও এক নাবালিকাকে ৷বুধবার ট্যাংরা থানা এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে তিন মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷ সেই তিনজন রোমি-সুদেষ্ণা ও এক নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয় বৃহস্পতিবার ৷ সেখানে ওই নাবালিকার শরীরে বিষ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান (জয়েন্ট সিপি-ক্রাইম) রূপেশ কুমার ৷ তিনি বলেন, ওই নাবালিকার শরীরে বিষ মিলেছে ।কলকাতা পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী রোমির দুই হাতের কবজির শিরা কাটা ছিল ৷ তাঁর গলা বাঁদিক থেকে ডানদিকে কাটা হয় ৷ রোমির হাতের শিরা যখন কাটা হয়, তখন তিনি বেঁচেছিলেন ৷ সুদেষ্ণাকেও একইভাবে হত্যা করা হয় ৷ অন্যদিকে নিহত নাবালিকার বুক, দুই পা, ঠোঁট-সহ বিভিন্ন অংশে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। মাথাতেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে৷ পাকস্থলিতেও রক্তক্ষরণের প্রমাণ মিলেছে ৷ এছাড়া পাকস্থলিতে সামান্য পরিমাণে আংশিকভাবে হজম হওয়া খাবার, হলুদ ও সাদা দানাজাতীয় পদার্থ মিলেছে। যার গন্ধ অনেকটা ওষুধের মতো ৷ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ফরেনসিক তদন্তেও একাধিক তথ্য উঠে এসেছে ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাড়ি থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার হয়েছে ৷ বেসিনে রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে ৷ ফলে তদন্তকারীদের ধারনা, অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় খুন করা হয় ৷ তার পর রক্তমাখা জামাকাপড় বাড়িতে রেখে সাফসুতরো হয়ে বেরিয়ে যান৷এক্ষেত্রে মূল প্রশ্ন হল, খুন কে করল? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ ৷ সন্দেহের তির প্রাথমিকভাবে দুই ভাই প্রণয় দে ও প্রসূন দের ওপর৷ কারণ, আত্মহত্যার যে তত্ত্ব বুধবার পুলিশকে দিয়েছিলেন এই দুই ভাই, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর অনেকটাই ভুল বলেই তদন্তকারীরা মনে করছে৷বৃহস্পতিবার ওই পরিবারের গাড়ির চালক কৈলাস দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ৷ তার পরই তদন্তকারীদের ধারণা, পুরো ঘটনাই পূর্ব পরিকল্পিত৷ কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের কৈলাস কী জানিয়েছেন? পুলিশ সূত্রে খবর, কৈলাস সোমবার শেষবার ডিউটিতে এসেছিলেন ৷ সকালে বাচ্চাদের স্কুলে ছেড়ে আসেন। পরে সন্ধ্যায় টিউশনে ছেড়ে আসতে যান তিনি। পরে তিনি বাড়ি চলে আসেন।মঙ্গলবার তাঁকে আসতে বারণ করা হয়, পুলিশকে জানিয়েছে কৈলাস৷ কৈলাস সাড়ে ১৫হাজার টাকা বেতন পেতেন ৷ সেই টাকা পেতেও এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি ৷ এছাড়া দে পরিবারের কারখানার কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলে আর্থিক অনটনের বিষয়ে কোনও তথ্য মেলেনি ৷ ফলে ঋণের যে বিষয়টি বুধবার সামনে এসেছিল, সেটাও সঠিক নয় বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা ৷এর আগে ট্যাংরায় এই তিনজনের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ। মৃত গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে-র বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতেই অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দিনভর পাওনাদাররা ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেনি বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীর? এখানেই বড় প্রশ্ন, তাহলে মহিলাদের মৃত্যু কি আরও আগেই হয়েছে? রহস্য ক্রমশ বাড়ছে।কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা জানিয়েছিলেন, সুইসাইড নোট কিছু আমরা পাইনি। আসলে কারণ কী, কেন মারা গেছে, সেটা পোস্টমর্টেম থেকে বোঝা যাবে। ভিসেরার কেমিক্যাল পরীক্ষাও গুরুত্বপূর্ণ। ৩জন মহিলা মারা গেলেন! তিনজন পুরুষ এখনও বেঁচে! এটাও বড় রহস্য।মৃত গৃহবধূ সুদেষ্ণা দে-র বাবার দাবি, তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ট্যাংরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তার ভিত্তিতেই অজ্ঞাতপরিচয়ের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ব্য়বসায়ে ক্ষতির ফলেই এমন ঘটনা, সেই প্রশ্নও উঠছে। নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে? খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা।

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৫
কলকাতা

খাস কলকাতায় ভয়াবহ কাণ্ড, ট্যাংরায় একই পরিবারের তিন মহিলার রহস্যমৃত্যু

সাতসকালেই খাস কলকাতায়, ভয়ঙ্কর ঘটনা, তুমুল চাঞ্চল্য। ট্যাংরায় একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু। পথ দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে মিলল এই তিন মহিলার মৃতদেহের খোঁজ। দুর্ঘটনায় তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন ভোরে একটি গাড়ি রুবি হাসপাতালের মোড় থেকে অভিষিক্তার মোড়ের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেটি ইএম বাইপাসের উপর কবি সুকান্ত মেট্রো স্টেশনের পিলারে ধাক্কা মারে। ঘটনার তদন্তে নেমে ট্যাংরার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিন মহিলার নিথর দেহ। আদৌ দুর্ঘটনা না আত্মহত্যার চেষ্টা তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বাড়িতে কোনও ঘটনা ঘটিয়ে তাঁরা গাড়িতে বাইরে বেরিয়ে ছিল কিনা সেই প্রশ্নও উঠছে।পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কীভাবে মৃত্যু? খতিয়ে দেখছে পুলিশ। মৃতদের হাতের শিরাকাটা অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। তিনটে ঘর থেকে তিনজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, তিন জনের মধ্যে একজনের স্বামী দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে ব্যবসায়িক ক্ষতির কারণে তিনজনই আত্মঘাতী হয়েছেন। আত্মহত্যা না খুন, সব দিকটাই তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ জোগার করা হচ্ছে। তদন্ত নিয়ে মুখে না খুললেও পুলিশের দৃঢ়় ধারনা ওই পরিবারের নিজেদের মধ্যে বড় কোনও সমস্যা আছে।

ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
রাজ্য

মোহন ভাগবতের সঙ্গে সাক্ষাৎ অভয়ার পরিবারের, দোষীদের শাস্তির দাবিতে লড়াই জারি

আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করলেন আর জি কর মেডিকেল কলেজের মৃত ছাত্রীর বাবা মা। নিউটাউনের একটি অতিথি নিবাসে তাঁদের মধ্যে প্রায় দেড় ঘন্টা আলোচনা হয়। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে সিবিআই ঠিকভাবে তদন্ত করছে না বলে দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন বলেও ইচ্ছা প্রকাশ করেন নির্যাতিতার পরিবার। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করে অভয়ার পরিবার। তাঁরা চাইছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অথবা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। এবার সেই নির্যাতিতার পরিবার দেখা করলেন আরএসএস প্রধানের সঙ্গে। আজ দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ধরে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করেন মোহন ভাগবত।

ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
রাজ্য

মেয়ের জন্মদিনে পথে নামার ডাক আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারের

আরজি করের কাণ্ডের বিচারের দাবিতে ফের পথে নামতে চলেছে তাঁর বাবা-মা। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি জন্মদিন অভয়ার। ওই দিন পথে নেমে বিচারের দাবি জানাবেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা সকলকে ৯ ফেব্রুয়ারি পথে নামার আবেদন জানিয়েছেন। অভয়ার বাবা - মা স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা বিচার ছিনিয়ে আনবেন। সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। এদিকে আরজি কর মামলায় নির্যাতিতার পরিবারকে নয়া নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের। সুপ্রিম কোর্টে শুনানির পরেই হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হবে। এদিন মামলার শুনানিতে নির্যাতিতার পরিবারকে এমনই জানিয়েছেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে এই শুনানিতে রাজ্য সরকারের আইনজীবীর উপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে উচ্চ আদালত।

ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৫
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ফের প্রতিবাদ মিছিল অভয়া মঞ্চের

অবশেষে আরজি কর মামলার সাজা ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত। আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। এদিন ফের দোষী সঞ্জয় রায়ের ফাঁসির সাজার সওয়াল করেছিলেন সিবিআই আইনজীবী। অন্যদিকে, সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী তার মক্কেলকে সংশোধনের সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। আরজি কর কাণ্ডে গত শনিবার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেছিল শিয়ালদহ আদালত।সোমবার নির্ধারিত সময়ে সঞ্জয় রায়কে শিয়ালদহ আদালতে আনা হয়। প্রথমে সঞ্জয় নিজের বক্তব্যে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছিলেন। শুধু তাই নয়, মেডিকেল না করেই কেন্দ্রীয় সংস্থা তাকে হেফাজতে নিয়েছিল বলেও দাবি করে সঞ্জয়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে হাউহাউ করে কেঁদে ফেলে সঞ্জয় রায়। তখন বিচারক জানিয়ে দিয়েছিল বিকেল ২.৪৫ রায় ঘোষণা হবে। ঠিক ঘোষিত সময়ে আরজি কর কাণ্ডে সাজা ঘোষণা করেন শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস। সঞ্জয় রায়কে আজীবন কারবাসের নির্দেশ দেন বিচারক অনির্বান দাস।এদিন বিচারক আরজি করের নির্যাতিতার পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। সাজা ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আদালতের তিনতলার বারান্দা থেকে আইনজীবীরা চিৎকার করে জানিয়ে দেন সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন রায়ের পর অভয়া মঞ্চ শিয়ালদাহ থেকে মৌলালি পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করেন। উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান চলতে থাকে। এই রায় নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন অভয়ার পরিবার, চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষের বড় অংশ।

জানুয়ারি ২০, ২০২৫
রাজ্য

আরজি কর কাণ্ডে একা সঞ্জয় রায়ই দোষী সাব্যস্ত, সাজা ঘোষণা সোমবার

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হালপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। রায় শোনাল শিয়ালদা কোর্টের বিচারক অনির্বান দাস। আগামী সোমবারই সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে শিয়ালদা আদালতের বিচারক। বিএনএসের ৬৪,৬৬,১০৩/১ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সঞ্জয়কে। ৯ অগাস্ট তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল আরজি কর হাসপাতালের সেমিনার রুমে। কর্তব্যরত অবস্থায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনার পর ৫ মাস ৯ দিনের মাথায় রায় ঘোষণা করল শিয়ালদা আদালত। নিহত তরুণী চিকিৎসকের সুবিচারের আশায় গর্জে উঠেছে রাজপথ। দেশ থেকে বিদেশ সর্বত্র আছড়ে পড়েছিল প্রতিবাদের ঢেউ। অবশেষে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়। বিএনএসের তিনটি ধারায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে শিয়ালদা আদালত। তবে এখনও যে মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক প্রশ্নের উত্তর অধরা রয়ে গিয়েছে তা রায় ঘোষণার আগেই স্পষ্ট জানিয়েছেন মৃতার বাবা-মা। অবশেষে শনিবার ১২ মিনিটেই সিবিআই তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করল শিয়ালদা আদালতের বিচারপতি। ২০২৪ সালের ৯ অগাস্ট আরজি করে নারকীয় হত্যাকাণ্ড! কী কারণে খুন? খুনের ঘটনায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে দেশ জুড়ে বেনজির প্রতিবাদ চলতে থাকে। আদালতের নির্দেশে তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। প্রথমে কলকাতা হাইকোর্ট তারপর সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার বাআব্রু পরিস্থিতি ধরা পড়ে। তরুণী চিকিৎসক খুন-ধর্ষণের ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। যদিও এদিনও কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সঞ্জয় রায় বলেন, আমি নির্দোষ, আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আরও কিছু বলার চেষ্টা করলে বিচারপতি দাস বলেন, আপনার সব বক্তব্য সোমবার শোনা হবে। গত ১১ নভেম্বর শুরু হয় বিচার প্রক্রিয়া। তার পর কেটে গিয়েছে দুমাস। অবশেষে আজ শনিবার ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করলেন শিয়ালদা কোর্টের বিচারপতি অনির্বান দাস। দোষী সাব্যস্ত হলেন সঞ্জয় রায়। সাজা ঘোষণা আগামী সোমবার।

জানুয়ারি ১৮, ২০২৫
রাজ্য

কালিয়াচকের তৃণমূল কর্মী খুনের মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার, এদিনই মালদায় গিয়েছিলেন ডিজি

মালদায় এসেছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। শুক্রবার তিনি নিহত বাবলা সরকারের স্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তার আগে পুলিশ সুপারের অফিসে উত্তরবঙ্গের আইজি, ডিআইজি সহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজীব কুমার। অবশেষে এদিন বিকেলেই জানা গিয়েছে, মালদার কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মী খুনে গ্রেফতার হয়েছে মূল অভিযুক্ত জাকির শেখ। তৃণমূল কর্মী খুনের তিন দিন পর এদিন সন্ধ্যায় কাশিমনগরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী জাকির শেখকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মী আতাউল হককে খুন এবং দলের দুই নেতার ওপর গুলি করে মাথা থেঁতলে খুনের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।পুলিশ সূত্রে খবর, গত মঙ্গলবার নওদা যদুপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোমিনপাড়া নয়াবস্তি এলাকায় সাতসকালে খুন হন তৃণমূল কর্মী আতাউল হক (৫০)। এই ঘটনার সময় নওদা যদুপুর তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির সভাপতি বকুল শেখ এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের শাসকদলের নির্বাচিত শাসকদলের সদস্য এসারুদ্দিন শেখের ওপর হামলা চালানো হয়। আহত দুই তৃণমূল নেতা এখনও চিকিৎসাধীন মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনার পর ২৪ ঘন্টার মধ্যেই আমির হামজা নামে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরই ওই খুন এবং হামলার মূল ষড়যন্ত্রী জাকির শেখকে ধরতে ড্রোন উড়িয়ে এবং পুলিশ কুকুর দিয়েও চলে তল্লাশি অভিযান। গ্রেফতার হয় জাকির শেখ। পুলিশ জানিয়েছে, কাশিমনগরের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী জাকির শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামিকাল, শনিবার মালদা আদালতে জাকিরক পেশ করা হবে।

জানুয়ারি ১৭, ২০২৫
রাজ্য

আমবাগানে উদ্ধার অগ্নিদগ্ধ মহিলার খুন কী পরকীয়ার জের? কাটোয়া থেকে গ্রেফতার যুবক

মালদার মালতিপুরের আমবাগান থেকে অগ্নিদগ্ধ মহিলার মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চঞ্চল্য় ছড়িয়েছিল গতকাল। ওই মহিলার পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তারপর জোরদার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে আসে ফরেন্সিক দল। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার সন্দেহে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া স্টেশন থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।তদন্তকারীদের অনুমান, মালতিপুরের নৃশংস খুনের ঘটনায় পরকীয়া সম্পর্ক থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত দুটো নাগাদ কলকাতাগামী ডাউন - রাধিকাপুর এক্সপ্রেসের সাধারণ বগি থেকে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে কাটোয়া থানার পুলিশ। ধৃতকে মালদা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। শনিবার অগ্নিদগ্ধ ওই মহিলার দেহ উদ্ধারের পর চাঁচোল থানার মালতিপুর এলাকার আমবাগানে তদন্তে পৌঁছায় তিনজনের একটি ফরেন্সিক অফিসার। ফরেনসিক দলের তদন্তকারী কর্তা দীপক রায় জানিয়েছেন, ওই মহিলার দেহের সমস্ত অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। ফলে তদন্তে কিছুটা সমস্যা তো হবেই। তবে পুড়ে যাওয়া কিছু শরীরের অংশ নমুনা হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে কিনা সেটি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই বলা সম্ভব। এদিকে ওই মহিলার নাম পরিচয় সনাক্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার বয়স ৪০ বছর। মৃতার বাবার বাড়ি চাঁচোল থানার দক্ষিণ শহর এলাকায়। ১২ বছর আগে ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ এলাকার এক দিন মজুরের সঙ্গে। তাঁর নাবালক দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। দেড় বছর আগে ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর তিনি বাবার বাড়িতে থাকতেন। মাঝেমধ্যে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেত সে।পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত আবু তাহের ওই মহিলার শ্বশুর বাড়ির পাশাপাশি এলাকায় থাকে। দীর্ঘদিন আগে তাদের মধ্যে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কয়েক মাস ধরে বাবার বাড়িতে থাকাকালীন ওই মহিলা অভিযুক্ত আবু তাহেরকে পাত্তা দিচ্ছিল না। এছাড়াও একাধিক যুবকের সঙ্গে ওই মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল বলেও প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। আর সেটা থেকেই হয়তো ধৃত আবু তাহের বদলা নিতেই এই খুনের ঘটনায় ঘটাতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। তবে ওই মহিলাকে রাতের অন্ধকারে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণ করে খুন কিনা সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তবে কুপিয়ে খুন করার পর খড়ের গাদায় দেহ রেখে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
রাজ্য

একসঙ্গে সাতজনকে ফাঁসির রায়! নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল টোটোচালককে

সাতজনকে ফাঁসির আদেশ! নৃশংস ভাবে এক টোটোচালককে খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার এই রায় দেন চুঁচুড়া আদালতের বিচারক। ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয় হুগলির কুখ্যাত দুস্কৃতী বিশাল দাস ও তার ৬ সাকরেদ রাজকুমার প্রামানিক, রথীন সিংহ, রতন ব্যাপারী, রামকৃষ্ণ মন্ডল, বিনোদ দাস, বিপ্লব বিশ্বাসকে ফাঁসির রায় দেন বিচারক। অপর এক আসামি মান্তু ঘোষকে ৭ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এক টোটো চালককে মোট ৯ জন দুস্কৃতী নৃশংস ভাবে খুন করেছিল। শেখ মিন্টু এই মামলায় রাজসাক্ষী হয়েছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে চুঁচুড়া ফার্স্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক শিব শঙ্কর ঘোষ এদিন বিশাল দাস সহ সাতজনকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন। বাকি ১ জনের ৭ বছরের সাজা শোনানো হয়। তিনদিন আগেই এই অভিযুক্তরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। ফাঁসির রায়দানকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য়ের সৃষ্টি হয় আদালত চত্বরে। চুঁচুড়া আদালতে ছিল কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঘটনা ঘটেছিল চার বছর আগে। দিনটা ছিল ২০২০ সালের ১১ অক্টোবর। টোটোচালক বছর তেইশের যুবক বিষ্ণু মালকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক গোপন স্থানে আটকে রেখে রীতিমতো টুকরো টুকরো করে দেহের বিভিন্ন অংশ নানা জায়গায় ফেলা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তাঁকে রায়ের বেড় এলাকা থেকে বাইকে করে তুলে নিয়েছিল বিশাল। কুখ্যাত দুষ্কৃতী বিশাল দাস ও তার দলবল এই কান্ড ঘটিয়েছিল। বিষ্ণুর কি ছিল অপরাধ? বিষ্ণুর সঙ্গে যে মেয়েটির ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল, সেই মেয়েকে পছন্দ ছিল বিশাল দাসের। এই খুনের কিছুদিন পরে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জীবনতলা এলাকা থেকে ধরা পড়ে বিশাল।

নভেম্বর ২৮, ২০২৪
রাজ্য

জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুন, নদিয়া থেকে গ্রেফতার সিপিএম নেতা, পুলিশের জালে আরও ৪

জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের অভিযোগে নদিয়া গ্রেফতার করা হল সিপিএম নেতা আনিসুর রহমান লস্করকে। গাড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন আনিসুর। শেষপর্যন্ত মোবাইল ট্র্যাক করে ঘটনার ৩ দিন পরে অভিযুক্তদের ধরে ফেলে পুলিশ। এছাড়া আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে তাঁদের নাম, পরিচয় এখনও প্রকাশ করা হয়নি।সইফুদ্দিন লস্করকে খুনে সিপিএম নেতা আনিসুর রহমানই মূল চক্রী বলে মনে করছে পুলিশ। নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল, সেখানে নাম ছিল এলাকায় সিপিএম নেতা বলে পরিচিত আনিসুরের।পুলিশ সূত্রে খবর, সইফুদ্দিন খুনের পর থেকেই পলাতক ছিলেন সিপিএম নেতা আনিসুর। বন্ধ ছিল তাঁর মোবাইলও। সইফুদ্দিন খুনে জড়িত সন্দেহে গত মঙ্গলবার ভোরে গণপিটুনিতে প্রাণ যায় সাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তির। গ্রেফতার করা হয় শাহরুল শেখ নামে আরেক অভিযুক্তকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর আটকও করা হয় বেশ কয়েকজনকে। তাদের জেরা করেই সইফুদ্দিন খুনে আনিসুর যোগের কথা জানতে পারে পুলিশ।তদন্তের স্বার্থে পুলিশ দলুয়াখাঁকির আনিসুর রহমান লস্করের খোঁজ শুরু করে। বাড়ি সহ সম্ভাব্য জায়গায় তল্লাশি চালালেও অনুসুরের খো্জ মেলেনি। তার আগেই পালিয়ে যান আনিসুর। ফলে অভিযুক্তের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা শুরু করে পুলিশ। সেই মত নানা জায়গায় হানা দিলেও কোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষপর্ষন্ত নদিয়ার রানাঘাটে আনিসুরের মোবাইল ফোনের লোকেশন দেখে সেখানে যায়। ওখান থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।তবে আনিসুরকে দলের নেতা বলে মানতে অস্বীকার করেছেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, আনিসুরের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। সে আমাদের সমর্থক হতে পারে। আসলে পুলিশ তৃণমূলের নেতা খুনে যে কোনও উপায়ে বিরোধী সিপিএমকে জড়াতে মরিয়া। তাই আততায়ীকে ধরে এখন আমাদের দলের নেতা বলে দেওয়া হচ্ছে। আবার বলা হচ্ছে উনি নাকি কর্মী। আসলে পুরোটাই সাজানো গল্প। তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, আইন আইনের পথে চলবে। সিপিএম যে ধোয়া তুলসী পাতা নয় এই গ্রেফতারি থেকে তা প্রমাণ হয়ে গেল। আসলে এই সন্ত্রাস, খুনের রাজনীতিই সিপিএমের সংস্কৃতি।ভোরবেলা নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময় বামনগাছি অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে গুলি করে খুন করা হয় মঙ্গলবার ভোরে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, মোটরবাইকে আসা দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। এই খুনের খবর জানাজানি হতেই দলুয়াখাঁকি, লস্করপাড়ার একাধিক বাড়িতে পরপর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে জয়নগরের দলুয়াখাঁকি গ্রাম। গ্রাম ছাড়া হয় বহু পরিবার।

নভেম্বর ১৬, ২০২৩
দেশ

শ্রদ্ধাকে খুনের পর দেহ ৩০ টুকরোই, রোমহর্ষক খুনের ৬,৬২৯ পাতার চার্জশিট পেশ

দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের রোমহর্ষক খুনের ঘটনার তদন্ত শেষ করেছে দিল্লি পুলিশ। গায়ে কাঁটা দেওয়া ওই খুনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল সারা দেশ। হতবাক হয়েছে দেশবাসী। অভিযোগ, খুন করেই ক্ষান্ত হয়নি অপরাধী। তাঁর লিভ-ইন-পার্টনার মৃতদেহ কেটে একাধিক টুকরো করেছিল। শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যা মামলায় মোট ৬,৬২৯ পাতার চার্জশিট আদালতে পেশ করছে দিল্লি পুলিশ। সূত্রের খবর, ওই চার্জশিটে বলা হয়েছে, গত বছরের মে মাসে লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করেছে আফতাব পুনাওয়ালা। হত্যার করে শ্রদ্ধার দেহ টুকরো টুকরো করে দেহাংশগুলো ফেলে এসেছিল কাছের জঙ্গলে। কেন খুন করা হয়েছে সেই কারণও বলা হয়েছে চার্জশিটে। তদন্তকারীদের অনুমান, পুরোনো এক বন্ধুর শ্রদ্ধার দেখা হওয়াই কাল হয়েছিল। ওই সাক্ষাতের পর ১৮ মে আফতাব ও শ্রদ্ধার মধ্যে মারপিট হয়। তারপরই শ্রদ্ধাকে নৃশংস ভাবে খুন করে আফতাব।দিল্লি পুলিশের যুগ্ম কমিশনার(সাউদার্ন রেঞ্জ) মিনু চৌধুরী বলেন, শ্রদ্ধা তাঁর এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে বাড়ি ফিরেছিল। আফতাব এই ঘটনায় হতাশ হয়ে পড়ে। সে শ্রদ্ধার সঙ্গে মারামারি করে। এই সময়ই রাগের বশে শ্রদ্ধাকে খুন করে আফতাব। চার্জশিটে মোট ১৫০ জন সাক্ষীর উল্লেখ করা হয়েছে। শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিল আফতাব। তারপর নিজের লিভ-ইন পার্টনারের দেহ সে ৩০ টুকরো করে। সেই দেহাংশগুলোই মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলে দিয়ে এসেছিল আফতাব। চার্জশিটে আফতাবের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারা (খুন), ২০১ ধারা (প্রমাণ নষ্ট)-র অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ।এই মামলার তদন্তে পুলিশ মোট ৯টি দল গঠন করেছিল। গঠন করা হয়েছিল বিশেষ তদন্তকারী দলও। পুলিশকে তদন্তের কারণে ছুটতে হয়েছে হিমাচল প্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা এবং মহারাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন জায়গায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলার তদন্তে ডিএনএ টেস্ট, নার্কো টেস্ট, ভয়েস অ্যানালাইসিস এবং মুখমণ্ডল পরীক্ষাও করা হয়েছে। মোবাইল, ল্যাপটপ, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এবং ফোনের কল ডিটেলসেও চার্জশিটে উল্লেখ করেছে পুলিশ।

জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
রাজ্য

ভাদু শেখ খুনের মামলায় গ্রেফতার সোনা শেখ

ভাদু শেখ খুনে অন্যতম অভিযুক্ত সোনা শেখকে গ্রেফতার করল সিবিআই। সোমবার তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।চলতি বছরের ২১ মার্চ রাত্রি সাড়ে আটটা নাগাদ ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট থানার বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান, তৃণমূল নেতা ভাদু শেখকে। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ জানতে পারে দুটি মোটর বাইকে চার দুষ্কৃতী তাকে কাছ থেকে বোমা মেরে খুন করে। এদিকে ভাদু শেখ খুনের বদলা নিতে সোনা শেখের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। আগুনে আট জনের মৃত্যু হয়। সেই তালিকায় ছিল সোনা শেখের স্ত্রী রুপালী বিবি। ওই মামলায় ভাদু শেখের পরিবার ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনার পরেই পুলিশ ছয়জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে দুটি হত্যা মামলা সিবিআইয়ের হাতে আসতেই ভোল পাল্টে যায়। চার্জশিটে ধৃত পাঁচ জনের নাম না থাকায় আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে। শুধুমাত্র শেখ সঞ্জুকে ভাদু খুনে সাব্যস্ত করে সিবিআই। ধৃত সোনা শেখের নাম ভাদুর পরিবারের অভিযোগ তালিকায় থাকলেও সিবিআইয়ের প্রথম চার্জশিটে ছিল না বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে। পরবর্তী চার্জশিটে সোনা শেখের নাম ঢোকায় সিবিআই। তাকে রবিবার সিউড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারক ধৃতকে চারদিনের হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।সরকারি আইনজীবী সুরজিত সিনহা বলেন, প্রথম সিবিআইয়ের চার্জশিটে সোনা শেখের নাম ছিল না। পরবর্তীতে তার নাম ঢোকান হয়। সিবিআই মনে করেছে ভাদু শেখ খুনের সঙ্গে সোনা শেখের যোগসাজশ রয়েছে। তাই তাকে সাতদিন হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেছিল। বিচারক চারদিন মঞ্জুর করেছেন।অভিযুক্তর পক্ষের আইনজীবী আব্দুর বাড়ি বলেন, সোনা শেখকে রামপুরহাটের আশেপাশে থেকে ধরা হয়েছে। তার নাম এফআইআর তালিকায় দ্বিতীয়তে ছিল। তবে সিবিআই তদন্তে নেমে ভাদু খুনের সঙ্গে তার যোগসাজশ না পেয়ে চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ দিয়েছিল। পরবর্তীতে তদন্তের স্বার্থে সিবিআই তার নাম ঢোকায়।সোনা শেখের নিকট আত্মীয় মিহিলাল শেখ বলেন, উদ্দেশ্যে প্রণোদিত ভাবে সোনা শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তবে সিবিআইয়ের তদন্তে আমাদের আস্থা রয়েছে। তারা তদন্ত করে দেখুক। যদি সোনা শেখ দোষী হয় তাহলে সাজা পাবে।

সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
রাজ্য

স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের জেরে খুন আউশগ্রামে, স্বীকার অভিযুক্তর

পরকীয়ার জেরেই খুন করেছে স্বীকার করলো অভিযুক্ত। স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরেই রাগের বশে সাদেক শেখকে খুন করেছে পুলিশের কাছে একথা জানাল পূর্ববর্ধমানের আউশগ্রামের রেওড়া গ্রামে খুনের ঘটনায় ধৃত চন্দন মেটে। ধৃত শুক্রবার দাবি করে তার স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে সম্পর্ক ছিল সাদেক শেখের। বারবার নিষেধ সত্বেও সাদেক শোনেনি। তাই রাগের বশেই তাকে কলের হ্যাণ্ডেল দিয়ে মেরেছিলাম। মরে যাবে বুঝতে পারিনি।যদিও নিহতের স্ত্রী গোলেনূর শেখ পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে জানান,পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে বচসার জেরেই চন্দন মেটে তার স্বামী সাদেক শেখকে পরিকল্পনা মাফিক খুন করেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চন্দন মেটেকে আটক করার পর রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার তাকে বর্ধমান আদালতে পাঠানো হয়। আদালত ধৃতকে ৭ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা যায়।বৃহস্পতিবার বিকেলে আউশগ্রামের রেওড়া গ্রামের মেটেপাড়ার কাছে সাদেক শেখকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের লোকজন। বীরভূমের সিয়ান হাসপাতালে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হলে কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয়। পেশায় কৃষক সাদেক শেখ। স্ত্রী গোলেনূর শেখ পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন তার স্বামী চন্দনকে ২০ হাজার টাকা ধার দিয়েছিলেন। ওই টাকা বৃহস্পতিবার বিকেলে চাইতে গিয়েছিলেন তার স্বামী সাদেক শেখ। টাকা দিতে অস্বীকার করলে সাদেকের সঙ্গে চন্দনের বচসা হয়। চন্দন তখন হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। গোলেনূর শেখ জানান তারপর চন্দনের বাড়ি থেকে সাদেক বেড়িয়ে এসে যখন ভেদিয়া দীননাথপুর মালিয়াড়া রাস্তায় উঠছিলেন তখন চন্দন পিছন থেকে ভারী বস্তু দিয়ে সাদেকের মাথায় আঘাত করে।যদিও এদিন ধৃত চন্দন বলেন, আমার স্ত্রীর সঙ্গে সাদেক শেখের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। আমার স্ত্রীকে লজে নিয়ে যেত। আমি না থাকা অবস্থায় বাড়িতেও যেত। বৃহস্পতিবার বাড়ি ঢুকেই দেখি সাদেক আমার ঘর থেকে বেড়িয়ে আসছে। তখন রাগের মাথায় কলের হ্যাণ্ডেল দিয়ে পিঠে আঘাত করতে গিয়েছিলাম। মাথায় লেগে গিয়েছে।

সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২
দেশ

তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রয়াগরাজের নিহত পরিবারের আত্মীয়রা

উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে একই পরিবারের পাঁচজনকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশ। এই ঘটনাকে ধিক্কার জানিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলি যোগী সরকারের তুলোধোনা করছে। উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তাঁরা। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার প্রয়াগরাজের ঘটনাস্থলে যায় পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। দোষীদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছে ওই প্রতিনিধি দল।এরাজ্যের বীরভূমের বগটুই গ্রামের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সারা দেশকে। এবার উত্তরপ্রদেশের ঘচনায় ছিছি করছে সারা দেশ। প্রয়াগরাজের থরভই থানার খেবরাজপুর গ্রামে ২ বছরের শিশু-সহ একই পরিবারের ৫ জনকে গলার নলি কেটে হত্যা করা হয়েছে। তারপর বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। উদ্ধার হয়েছে বিবস্ত্র অবস্থায় বিশেষভাবে সক্ষম মেয়ে ও পুত্রবধূর মৃতদেহ।এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রনিতিধি দলে ছিলেন দলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন, বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর, তৃণমূল নেতা সাকেত গোখলে, রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মাণ্ডি ও উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা ললিতেশ ত্রিপাঠী। বিজেপি এরাজ্যে বগটুই গণহত্যা ও হাঁসখালি গণধর্ষণকান্ডে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠিয়েছিল। তৃণমূল দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনাতেও সাংসদদের নিয়ে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি পাঠায়। সেখানে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ, অভিযোগ করে তৃণমূল। এদিন তৃণমূল প্রতিনিধিদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের আত্মীয়রা। তাঁদের পাশে থাকার ব্যাপারে আশ্বাস দেন এই প্রতিনিধদলের সদস্যরা। উত্তরপ্রদেশের আইন-শৃঙ্খলার তীব্র সমালোচনা করেন তাঁরা।

এপ্রিল ২৪, ২০২২
রাজ্য

আনিস-মৃত্যু তদন্তে রাজ্য পুলিশেই ভরসা হাইকোর্টের

ছাত্রনেতা আনিস খানের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের রিপোর্টও ইতিমধ্যেই এসেছে বলে সূত্রের খবর। সেখানে আনিসের মৃত্যুর কারণ খুব স্পষ্ট নয় বলে সূত্রের দাবি। এরইমধ্যে সোমবার রাজ্য পুলিশের হাতে এই ঘটনার তদন্তভার রাখার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সিটই এই ঘটনার তদন্ত করবে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এদিন বলেন, আপাতত রাজ্য পুলিশ আনিসের মৃত্যুর তদন্ত করবে।অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্যবেক্ষণ বিচারপতির, রাজ্যের পুলিশ পৃথিবীর কারও থেকে কম নয়, যদি কেউ তাদের বাধা না দেয়। নিজেদের প্রমাণ করার সময় এটা। তারাই এই ঘটনার তদন্ত করবে। আগামী একমাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।এদিন আদালত জানিয়ে দিয়েছে, অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ছাড়া এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না গেলে তদন্তের সময়সীমা বাড়ানো হবে না। একইসঙ্গে তদন্তকারীদের এক সপ্তাহের মধ্যে ফরেনসিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে এবং কোনওভাবে প্রভাবিত না হয়ে তদন্ত করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

মার্চ ১৪, ২০২২
রাজ্য

অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হল আমতা থানার ওসিকে

আমতা থানার ওসি-কে বৃহস্পতিবার অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল। ঘটনাচক্রে, বৃহস্পতিবার সকালেই ওসি-র গ্রেপ্তারের দাবিতে আমতা থানায় তুমুল বিক্ষোভ দেখায় আনিসের পরিবার ও পড়শিরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এ বার আমতা থানায় ওসি-র দায়িত্বে এলেন কিঙ্কর মণ্ডল।বৃহস্পতিবার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়ি থেকে মিছিল করে আমতা থানা পর্যন্ত যান তাঁর পাড়া প্রতিবেশীরা। থানার বাইরে ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভ দেখান। পরে সেখানেই বিক্ষোভকারীদের উপস্থিতিতে নিজের দাবি জানান আনিসের বাবা সালেম। একটু উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোন হাতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, আমি ওসিকে গ্রেপ্তার করার জন্য, সিবিআই তদন্ত করার জন্য, পঞ্চায়েত প্রধান এবং উপপ্রধানকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি। এর পরেই আমতা থানার ওসি-তে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হল।

ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
রাজ্য

আনিস হত্যায় সিটের হাতেই তদন্তভার বহাল রাখল হাইকোর্ট, দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ

আনিস হত্যা-কাণ্ডের তদন্তে সিটের উপরেই আস্থা রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি, রাজ্যের দাবি মেনে ছাত্রনেতার দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। তবে তা হাওড়ার জেলা আদালতের বিচারকের তত্ত্বাবধানে হবে।শুক্রবার মধ্যরাতে হাওড়ার আমতায় আনিস খানের মৃত্যুতে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভের আবহে সোমবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই মামলা গ্রহণ করে উচ্চ আদালত। ওই মামলায় সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা রাজ্যের থেকে তিন দিনের মধ্যে আনিসের মৃত্যুর ঘটনার রিপোর্ট চেয়েছিল। তার ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে আনিস-মামলার শুনানি ছিল। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতকে জানান, আনিস-কাণ্ডের তদন্তে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে, ওই সিটের সদস্যেরা প্রত্যেকেই অভিজ্ঞ। তাঁদের প্রত্যেকের সিআইডি-তে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরই সঙ্গে তিনি জানান, ওই দলে বিভিন্ন ক্ষেত্রের আরও সাত জন রয়েছেন।এর পরেই বিচারপতি মান্থা জানান, আনিস-কাণ্ডের তদন্তে সিটের উপরেই আস্থা রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে আনিসের দেহের দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্ত করা হবে। যার তত্ত্বাবধানে থাকবেন হাওড়া জেলা আদালতের বিচারক। দ্বিতীয় বার ময়নাতদন্তের সময় ওই বিচারক বা তাঁর মনোনীত কোনও ব্যক্তিকে উপস্থিত থাকতে হবে।আদালতের তরফে জানানো হয়, তদন্তের স্বার্থে আনিসের পরিবারের থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে হায়দরাবাদে পাঠানো হবে। সেখানে সেন্ট্রাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে মোবাইল ফোনটির পরীক্ষা করা হবে। মোবাইল পরীক্ষার সময় উপস্থিত থাকতে হবে ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক সেন্টারের এক জন প্রতিনিধিকে। জেলা বিচারকদের পর্যবেক্ষণে মোবাইলের তথ্য বন্ধ খামে আদালতে জমা দিতে হবে। পাশাপাশি, এই মামলায় সাক্ষীদের নিরাপত্তা দিতে বলেছে আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ, সিটকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
রাজ্য

ওসির নির্দেশে গিয়েছিলাম, আমরা বলির পাঁঠা, দাবি ধৃত দুই পুলিশকর্মীর

ওসি-র নির্দেশ পেয়েই শুক্রবার রাতে ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়িতে গিয়েছিলেন, জানালেন আনিস-হত্যা মামলায় জড়িত সন্দেহে ধৃত দুজন পুলিশকর্মী। তাঁদের দাবি, গোটা ঘটনাটিতে তাঁদেরকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। আসলে আনিস-হত্যার আগুনে জল ঢালা হচ্ছে এই ভাবে।বুধবারই আনিস-হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হোমগার্ড কাশীনাথ বেরা এবং সিভিক ভলান্টিয়ার প্রীতম ভট্টাচার্যকে। বৃহস্পতিবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁরা জানান, শুক্রবার আনিসের বাড়িতে গেলেও আনিসের মৃত্যু কী ভাবে হয়েছে তা তাঁদের জানা নেই। তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল, কেন সেই রাতে আনিসের বাড়িতে গিয়েছিলেন তাঁরা? কেউ কি তাঁদের যেতে বলেছিল? জবাবে ধৃত দুই পুলিশকর্মী জানান, তাঁরা ছাত্রনেতার আমতার বাড়িতে গিয়েছিলেন ওসি-র নির্দেশে। এই ওসি আমতা থানার ওসি কি না তা অবশ্য ধৃতরা জানাননি।এখানেই শেষ নয়, সরাসরি ওসি-র বিরুদ্ধে নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ করেন তাঁরা। এই বিষয়ে আনিস খানের দাদা সাবির খান বলেন, আমরা এজন্যই প্রথম থেকে বলছিলাম পুলিশ নাটক করছে। এই নাটক আমাদের পছন্দ হচ্ছে না। এ জন্য আমরা পুলিশকে মানি না। পুলিশকে পছন্দ করি না। সিটের উপর ভরসা নেই। আমরা সিবিআই চাইছি। ওসি-কে জিজ্ঞেস করুক। ওসি-কে তুলছে না কেন?

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
কলকাতা

আনিস-কাণ্ডে এখনই সিবিআই তদন্ত নয়, স্পষ্ট ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

আনিস-হত্যার ঘটনায় নিজে থেকে সিবিআই তদন্তের পথে হাঁটবে না রাজ্য সরকার। হাওড়ার ছাত্রনেতার মৃত্যুর তদন্তে সোমবার যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে, তারাই যে ঘটনার তদন্ত করবে, বুধবার তার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা জানান, যে দুজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে, তাঁদের ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই সঙ্গে মমতা বলেন, আমরা চাই নিরপেক্ষ তদন্ত হোক। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীরা যাতে তদন্তে প্রভাব খাটাতে না পারে, তার জন্যই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত নিরপেক্ষই হবে। আইন আইনের পথে চলবে। আমি তদন্তে কোনও হস্তক্ষেপ করতে চাই না। কিন্তু পাশাপাশিই সিবিআই তদন্ত নিয়ে রাজ্যের অনীহার কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট যে, সিবিআই-কে তদন্তভার দিলেই তারা দোষীদের খুঁজে বার করতে পারবে, তেমন নয়।উল্লেখ্য, ছাত্রনেতা আনিস খানের রহস্যমৃত্যুতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে রাজ্য সরকার। দুই পুলিশকর্মীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। কিন্তু তার পরেও সিট-এর উপর ভরসা রাখতে পারছেন না আনিসের পরিবারের সদস্যেরা। ছাত্রনেতার মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে তাঁরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা অর্থাৎ সিবিআইয়ের উপরেই ভরসা রাখছেন। সেই সঙ্গে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন বামেরা। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন, সিবিআই তদন্তের দাবি রাজ্য সরকার মানবে না। উল্টে এ ব্যাপারে বরং বামেদের এক হাত নিয়েছেন মমতা। নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করে বাম জমানায় একের পর এক ঘটনায় যে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি সেই প্রসঙ্গ তুলেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ছবি খারাপ করার চেষ্টাও হচ্ছে।

ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২
রাজ্য

ছেলে কোনওদিন তৃণমূল করতো না, মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন, সোচ্চার আনিসের বাবা সালেম খান

আনিস খান হত্যাকাণ্ডে যখন উত্তাল কলকাতা, সেই সময় একটি ভিডিও বার্তায় আনিসের বাবা সালেম খান স্পষ্ট জানান মুখ্যমন্ত্রী সঠিক কথা বলছেন না। তিনি আবেগের বশে এইসব বলছেন। আনিস কোনওদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল না। তিনি স্পষ্ট ভাষাতে বলেন, আনিস ছাত্র যুব আন্দোলনের ছেলে, আনিস আইএসএফের ছেলে। আনিস কোনওদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ছিল না।তিনি স্পষ্ট বলেন, আনিস যদি তৃণমূল কংগ্রেসের ছেলে হতো তাহলে এভাবে তাকে মরতে হতো না। আনিসের উপরে পসকো মামলা হতো না। তিনি বলেন, উলুবেড়িয়াতে যখন একজন ছাত্রীকে স্কুল থেকে কলেজে ভর্তি করতে গেল আনিস। তখন উলুবেড়িয়ার মানিক সরকারের তা ভালো লাগে নি। মানিক সরকারের ছেলে আনিসকে মারধর করে হাসপাতালে পাঠায়। এরপর আনিসকে মারধর করার জন্য প্রায় দুই হাজার ছেলে বাগনান থানা ঘেরাও করে। মানিক সরকার চক্রান্ত করে একজন নাবালিকাকে দিয়ে আনিসের বিরুদ্ধে পসকো ধারায় মামলা করে।তিনি আরও দাবি করেন, আনিসকে যখন মারধর করে ফেলে রেখে গিয়েছিল তখন কোনও তৃণমূলের নেতা আসেনি সাহায্যের জন্য। সেই সময় স্থানীয় তৃণমূলের নেতাদের কাছে ঘুরে বেরিয়েছিলাম। কেউ সাহায্য করেনি। আজকে তারা এসে বলছে নবান্নে যেতে হবে। কেন তাদের কথা শুনবো? তিনি আরও বলেন, আজ যখন আনিস নেই, তাঁর মুখ এবার খুলবে। তিনি আর কাউকে ভয় পান না। তিনি আবার দাবি করেন, সিবিআই ছাড়া তার কারও উপরে ভরসা নেই। তিনি তার ছেলের মৃত্যুর তদন্ত সিবিআইকে দিয়েই করাতে চান।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২২
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

বর্ধমান স্টেশনে ট্রেন ঢুকতেই হুড়োহুড়ি — পদপিষ্টে অন্তত ১২ জন আহত

রবিবার ছুটির সন্ধ্যায় বর্ধমান (Bardhaman) রেল স্টেশনে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। বহু যাত্রী একযোগে ট্রেন ধরার চেষ্টায় মুখ্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় ঠাসাঠাসিতে পদপিষ্ট হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে প্রাথমিক খবর পাওয়া গেছে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Burdwan Medical College Hospital) ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া সূত্র অনুযায়ী, একসঙ্গে ৩৪টি ট্রেন ৪, ৫ ও ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ছিল। যাত্রীরা ট্রেনে ওঠা ও নামার জন্য সিঁড়ি ও ওভারব্রিজ এলাকায় একসাথে ওটানামা করতে থাকেন, তখন ভিড় গিজ গিজ করছিল। সিঁড়িতে অতিরিক্ত চাপ ও ধাক্কাধাক্কির ফলে কয়েকজন পড়ে যান। এতেই আঘাত পান। প্রত্যক্ষদর্শীরা অভিযোগ করেছেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওভারব্রিজ একাধিক অংশ কাজ করছে না বা সংস্কার হচ্ছে, ফলে যাত্রীদের মূল সিঁড়িগুলো ব্যবহার করতে হয়। রেলের উদ্ধার দল ও রেলে নিয়োজিত স্টাফ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধারে মনোনিবেশ করে। রেল প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়ন করা হবে এবং ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়াতে পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
বিদেশ

গাজা শান্তি সম্মেলনে ভারতের প্রতিনিধি কীর্তি বর্ধন সিং

মিশরের শর্ম-এল-শেখে সোমবার অনুষ্ঠিত হতে চলেছে গাজা শান্তি সম্মেলন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিশেষ দূত হিসেবে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করবেন কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং।সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ এল-সিসি শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে আমন্ত্রণ জানান। তবে মোদি নিজে অংশ না নিয়ে প্রতিনিধিত্বের দায়িত্ব দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রীকে।এই সম্মেলনে অংশ নেবেন আরও বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল মাক্রোঁ, স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদরো স্যাঞ্চেজ এবং জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।কূটনৈতিক মহল মনে করছে, গাজা উপত্যকার সংঘাত পরিস্থিতি নিয়ে এই বৈঠকে আন্তর্জাতিক পরিসরে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়ার রূপরেখা তৈরি হতে পারে। উল্লেখ্য গাজায় আপাতত যুদ্ধবিরতি চলছে।

অক্টোবর ১২, ২০২৫
রাজ্য

দুর্গাপুরে ডাক্তারি ছাত্রীর ‘গণধর্ষণ’, তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার — সহপাঠীর ভূমিকাও প্রশ্নের মুখে

দুর্গাপুরে কলেজ ছাত্রীকে অপহরণ করে গণধর্ষণের অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে তিন অভিযুক্তকে। তাঁদের রবিবার দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।ঘটনাস্থল কলেজ ক্যাম্পাস থেকে মাত্র ৭০০ মিটার দূরে, ঘন ঝোপঝাড়ে ঘেরা এলাকায়। পুলিশ জানায়, সেখানে দীর্ঘদিন ধরেই বসে নেশার ঠেকমদ ও গাঁজা বিক্রির আড্ডা। শনিবার রাতে ওই ঠেকেই ছিলেন তিন অভিযুক্ত। তখনই তাঁরা কলেজের ডাক্তারি ছাত্রী এবং তাঁর এক সহপাঠীকে রাস্তায় হাঁটতে দেখে প্রথমে তরুণীকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন। এর পর তাঁকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাকালীন তরুণীর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় অভিযুক্তরা। পরে তদন্তে ধৃতদের কাছ থেকেই তরুণীর ফোন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশ দাবি করেছে, তিন জনের বিরুদ্ধেই প্রত্যক্ষ প্রমাণ মিলেছে। তদন্তকারীদের একটি সূত্র জানিয়েছে, সহপাঠীকে পালিয়ে যেতে দেখে তরুণী কলেজের বন্ধুদের ফোন করেছিলেন। পরে তাঁর বন্ধুরাই ওই সহপাঠীকে ঘটনাস্থলে ফের যেতে বলেন। এই সময়েই নির্যাতিতাকে ধর্ষণ করা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে ধারণা পুলিশের।ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই পুলিশ ওই সহপাঠীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তাঁর বয়ানেই পুরো ঘটনার প্রাথমিক তথ্য মিলেছে বলে সূত্রের খবর। তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট রঞ্জনা রায়।কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, রাত ৭টা ৫৮ মিনিটে সহপাঠীর সঙ্গে ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়েছিলেন তরুণী। ৮টা ৪২ মিনিটে সহপাঠী একা ফিরে আসেন, গেটের কাছে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করে ফের বাইরে যান। পরে রাত ৯টা ২৯ মিনিটে দুজন একসঙ্গে কলেজে ফেরেন। ৯টা ৩১ মিনিটে তরুণী নিজের হস্টেলে ফিরে যান।অভিযোগ, তরুণীর বাবার দাবি অনুযায়ী, তাঁর মেয়েকে বাইরে নিয়ে গিয়েছিলেন সেই সহপাঠীই, এবং ধৃত তিন জন ওই ছাত্রেরই বন্ধু। তাঁর কথায়, রাত ১০টার দিকে ওর বন্ধু ফোন করে জানায়, আমার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ওর এক বন্ধু ওকে খেতে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু যখন দু-তিন জন মেয়েকে ঘিরে ধরে, তখন ওর বন্ধুটি পালিয়ে যায়।এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পুলিশ মনে করছে, ঘটনায় আরও কয়েক জন যুক্ত থাকতে পারে। তাঁদের খোঁজে চলছে তল্লাশি অভিযান

অক্টোবর ১২, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal